সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিরামপুরে ১০গ্রামের মানুষের ঈদ উদযাপন
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের বেশ কিছু মুসল্লি ঈদুর ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। দুই জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা। শুক্রবার ২১এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের মেহেদী হাসান সুমনের বাড়ির সামনে এবং একই সময় আয়ড়া মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০গ্রামের ১৪০ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
খয়েরবাড়ি জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদরাসা মাঠের আল-আমিন জামাতের ইমামতি করেন।
উপজেলার আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সময় হওয়ার আগেই দূর-দূরান্তের গ্রামগুলো থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে একত্রিত হচ্ছে।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে আটটায় ওই এলাকার মাদ্রসা মাঠে আল আমিনের ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।
ঈমাম দেলোয়র হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমনকুমার মহন্ত আজকের পএিকাকে বলেন, বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি এবং বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুইটি জামায়াতের ১৪০জন মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেন।